October 10, 2024, 8:25 pm

সংবাদ শিরোনাম
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু বাংলাদেশের আইন ও বিচার ব্যবস্থা সংশোধন করিতে হবে – পর্ব ৯ আসন্ন শারদীয়া দুর্গাপূজা শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য প্রশাসন ও জনগণের প্রীতি আহ্বান – পর্ব ৮ প্রশাসন সংস্থা ব্রিটিশ আইনের মাধ্যমে শাসন ব্যবস্থা চলতে পারে না-পর্ব ৭ মাতৃভূমির এক ইঞ্চি জমি ছাড় দেওয়া হবে না, পর্ব ৬ স্বাধীন সার্বভৌম মাতৃভূমি রক্ষা করতে হলে প্রতিটি ঘরে সেনাবাহিনী তৈরি করতে হবে(পর্ব-৫) আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজায় শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার জন্য সকলকে সজাগ থাকার আহ্বান জামায়াত নেতা মাওলানা মমতাজ উদ্দিনের স্বাধীন সার্বভৌম মাতৃভূমিকে রক্ষা করতে হলে সশস্ত্র ট্রেনিং এর প্রয়োজন। বৈষম্য বিরোধী অভিভাবক ছাত্র শ্রমিক জনতা ঐক্য কমিটির (পর্ব- ৪) ভঙ্গুর রাষ্ট্রকে গড়তে হলে সংস্কার প্রয়োজন=== বৈষম্য বিরোধী অভিভাব ছাত্র শ্রমিক জনতা ঐক্য কেন্দ্রীয় কমিটির ব্যাংক কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

বন্যার কবলে নেপাল, ভারত, বাংলাদেশ, বহু লোকের মৃত্যু

বন্যার কবলে নেপাল, ভারত, বাংলাদেশ, বহু লোকের মৃত্যু

ডিটেকটিভ আন্তর্জাতিক ডেস্ক

বল বৃষ্টিপাতে মৌসুমী বন্যার কবলে পড়েছে ভারতীয় উপমহাদেশের তিন দেশ নেপাল, ভারত ও বাংলাদেশের একটি বড় অংশ।পানি বাড়ছে, বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

নেপালে ভারী বৃষ্টিপাতে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে রোববার পর্যন্ত চার দিনে মৃতের সংখ্যা ৫৫ জনে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার।

রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টিপাতে নেপালের বহু এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে, ঘরবাড়ি ডুবে গেছে।

দেশটির বিভিন্ন এলাকায় বেশ কয়েকটি সেতু ও সড়ক ধসে গেছে। এ পরিস্থিতিতে প্রায় ১০ হাজার লোক নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হয়েছে।

নেপালের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে ৫৫ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়ে বলা হয়েছে, ৩০ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।বাড়তে থাকা এই বন্যায় ১০ লাখের বেশি লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ১০৩৮৫টি বাড়ি থেকে ১১০০ লোককে উদ্ধার করেছে নেপালের পুলিশ।রাজধানী কাঠমান্ডুতে বাড়ির অংশ ধসে পড়ে এক পরিবারের তিন জনের মৃত্যু হয়েছে।আগামী কয়েক দিন ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, চীন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি তীর ছাপিয়ে উপচে পড়েছে।

এতে ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের ৩৩টি জেলার মধ্যে ২৮টি বন্যাকবলিত হয়েছে। এসব জেলার ৩১৩৮টি গ্রাম ডুবে গিয়ে ২৬ লাখ ৪৬ হাজার লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

রাজ্যটিতে বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকা।

টানা বৃষ্টিতে বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরেও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। নৃশংস সামরিক অভিযানের মুখে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী কক্সবাজারের শিবিরগুলোতে আশ্রয় নিয়ে আছে।

চলতি মাসে ওই এলাকায় ৫৮ দশমিক পাঁচ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।

বিবিসির খবর অনুযায়ী, এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত ভূমিধসের ঘটনায় রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত সপ্তাহেও ভূমিধসে দুটি শিশু মারা গেছে।

জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিস্তৃত বর্ষা মৌসুমে দক্ষিণ এশিয়ার এ অঞ্চলগুলোতে ক্ষয়ক্ষতি নিয়মিত ঘটনা।

বিবিসি লিখেছে, গত বছর এ অঞ্চলে ঝড় ও ভূমিধসে অন্তত ১২০০ মানুষের প্রাণ যায়। ভারতের কেরালা রাজ্য এক শতাব্দির মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার মুখোমুখি হয়।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর